Concepts About Basic Electro-Chemistry
বিষয়:বেসিক ইলেকট্রিসিটি
Part- 7
বেসিক
ইলেকট্রো-কেমিষ্ট্রি সম্পর্কে ধারণা (Concepts about Basic Electro-chemistry)ঃ
পটেনশিয়াল
ডিফারেলের অর্থ (The meaning of potential difference)ঃ
পটেনশিয়াল ডিফারেন্স-এর বাংলা অর্থ বিভব পার্থক্য অর্থাৎ
ভোল্টেজ। এই বিভব পার্থক্য একটি ইলেকট্রিক সেলের বা বিদ্যুৎ
কোষের দু প্রান্তের ভোল্টেজ, যখন সেলটির দু' প্রান্তে লোড
সংযুক্ত থাকে। এই ভোল্টেজকে টার্মিনাল ভোল্টেজও বলে।
উপরোক্ত চিত্রটি (চিত্রঃ ৭.১) বিবেচনা করা যাক, যেখানে সেলের আড়াআড়িতে লোড-রেজিস্টর R সংযুক্ত আছে । সুইচ S খোলা অবস্থায় AB- প্রান্তে ভোল্টেজ পরিমাপ করলে যে ভোল্টেজ পাওয়া যায়, উহা হল সেলের ই. এম. এফ.।
এখন সুইচ S
বন্ধ করলে সার্কিটের মধ্য দিয়ে । কারেন্ট প্রবাহিত হবে । AB-প্রান্তে ভোল্টেজ
পরিমাপ করলে যে ভোল্টেজ পাওয়া যায়, উহাই হল সেলের টার্মিনাল ভোল্টেজ বা পি. ডি.
(পটেনশিয়াল ডিফারেল)
ইকুইপটেনশিয়াল
সারফেস(Equipotential Surface) ঃ
ইলেকট্রিক ফিন্ডের কোন বিন্দুতে পটেনশিয়াল বলতে একটি
ইউনিট চার্জকে শূন্য পটেনশিয়ালের কোন উল্লেখিত বিন্দু থেকে সরানোর ফলে সৃষ্ট
কাজকে বুঝায় । সাধারণতঃ একই পটেনশিয়ালের বহুসংখ্যক বিন্দু থাকতে পারে এবং যে
সারফেস বা তলে এই সকল বিন্দু থাকে তাদেরকে ইকুইপটেনশিয়াল সারফেস বা সমবিভব তল বলে
।যেহেতু সমবিভব তলে সকল বিন্দুর একই বিভব থাকে। সুতরাং বলা যায়, সমবিভব তলে একটি
চার্জকে ঘুরানোর বা সরানোর ফলে কোন কাজ সম্পাদন হয় না ।
সেলের
সংজ্ঞা (The meaning of cells)ঃ
সেল (cell) এমন
একটি একক ইউনিট, যা রাসায়নিক শক্তিকে বৈদ্যুতিক শক্তিতে রূপান্তরিত করে ডি, সি,
ভোল্টেজ উৎপাদনে
সক্ষম।
৭.২ নং চিত্রটি একটি সেলের প্রতীক। প্রতিটি সেলের দুটি টার্মিনাল বা প্রান্ত থাকে, এর একটি পজেটিভ এবং অন্যটি নেগেটিভ। পজেটিভ টার্মিনালটি লম্বা রেখা দ্বারা এবং নেগেটিভ টার্মিনালটি ছোট রেখা দ্বারা বুঝানো হয়েছে ।
সেলের
শ্রেণিবিভাগ (Classification of cells, Definition & Lists) ঃ
সংজ্ঞা
(Definition)ঃ
প্রাইমারি
সেল (Primary cell)ঃ যে
সেল বিদ্যুৎ রাসায়নিক বিক্রিয়ার সাহায্যে বৈদ্যুতিক কারেন্ট উৎপন্ন করে এবং
কর্ম-ক্ষমতা একবার নিঃশেষ (Discharge)
হওয়ার পর পুনরায় কর্মক্ষম (Charge)
করা যায় না, উহাকে প্রাইমারি সেল বা প্রাথমিক কোষ বা মুখ্য
কোষ বলে।
প্রাইমারি সেলকে আবার দুভাগে ভাগ করা হয়েছে, যথাঃ
(ক) এক তরল বিশিষ্ট সেল (One Fluid Cell)ঃ যে বৈদ্যুতিক সেলে একটিমাত্র ক্রিয়াশীল তরল
পদার্থ বা ইলেকট্রোলাইট থাকে।
যেমনঃ লেকল্যান্স সেল, বাইক্রোমেট সেল, ড্রাই সেল ইত্যাদি
।
(খ) দুতরলবিশিষ্ট সেল (Two Fluid Cell)ঃ যে বৈদ্যুতিক সেলে দুটি ক্রিয়াশীল তরল
পদার্থ বা ইলেকট্রোলাইট থাকে।
যেমনঃ ড্যানিয়াল সেল, বুনসেন সেল ইত্যাদি ।
সেকেন্ডারি
সেল (Secondary cell)ঃ যে
সেল বিদ্যৎ-রাসায়নিক বিক্রিয়ার সাহায্যে বৈদ্যুতিক কারেন্ট উৎপন্ন করে এবং কর্ম-ক্ষমতা
একবার নিঃশেষ (Discharge) হওয়ার পর পুনরায় বৈদ্যতিক কারেন্ট পাঠিয়ে কর্মক্ষম
(Charge) করা যায়, উহাকে সেকেন্ডারি বা
স্টোরেজ সেল বলা হয় ।
যেমনঃ
১। লীড-লীড এসিড সেল, নিকেল-আয়রন অ্যালকালি সেল,
নিকেল-ক্যাডমিয়াম অ্যালকালি সেল ইত্যাদি ।
২। প্রাইমারি সেল
একবার নিঃশেষ হওয়ার পর দস্তা পাত এবং ইলেকট্রোলাইট
পরিবর্তন করে নতুন
করা যায়, কিন্তু এটা
ব্যয়সাপেক্ষ এবং ঝামেলাযুক্ত।
কিন্তু সেকেন্ডারি সেল একবার নিঃশেষ হওয়ার পর শুধুমাত্র
কারেন্ট পাঠিয়ে পুনরায় কর্মক্ষম করা যায় । এটা ব্যয়সাপেক্ষ নয় এবং ঝামেলা
যুক্তও নয় ।
৩ । প্রাইমারি সেল হতে বেশি পরিমাণ এবং বেশিক্ষণ একরূপ
কারেন্ট পাওয়া যায় না। অথচ সেকেন্ডারি সেল হতে বেশি পরিমাণ এবং দীর্ঘদিন যাবৎ
একই রকম কারেন্ট পাওয়া যায় ।
৪। প্রাইমারি সেলের ব্যবহার খুবই সীমিত, কিন্তু সেকেন্ডারি
সেল বহুল ব্যবহৃত।
প্রাইমারী ও সেকেন্ডারী সেলের মধ্যে পার্থক্যঃ
প্রাইমারী সেল
|
সেকেন্ডারী সেল
|
১। ইহাকে একবার কার্যক্ষমতা নিঃশেষ হওয়ার পর পুনরায় ব্যবহার করা যায় না।
|
১। ইহাকে একবার কার্যক্ষমতা নিঃশেষ হওয়ার পর পুনরায় ব্যবহার করা যায় ।
|
২। ইহা দীর্ঘদিন ব্যবহার করা যায় না।
|
২। ইহা দীর্ঘদিন ব্যবহার করা যায় ।
|
৩। ইহার EMF কম হয়ে থাকে।
|
৩। ইহার EMF তুলনামূলকবেশি হয়ে থাকে।
|
৪। ইহা হতে উচ্চ হারে কারেন্ট পাওয়া যায় না ।
|
৪। ইহা হতে উচ্চ হারে কারেন্ট পাওয়া যায় ।
|
৫। ইহার ব্যবহার রিমোট কন্ট্রোল, টেলিফোন, খেলনা ইত্যাদিতে |
|
৫। ইহার ব্যবহার মোবাইল, খেলনা, টর্চ, চার্জ লাইট ইত্যাদিতে ।
|